মা
মিনতি ঘোষ
তুমি
আমার
"১৯০০"
এর সাধা-সিধা
মা।
"২০০০" এর
সন্তানরা,
তোমায়
চিনবে
না।
শ্বশুর,
শাশুড়ী,
আত্মীয়-স্বজন, যৌথ পরিবার।
কারুর
অসুখ
হলেই
ছিল,
তোমার
সেবার
ভার।
দাদুর
ওষুধ,
দিদার
মালিশ,
ছেলে
মেয়েদের
হাজার
নালিশ।
সকলকে
খাইয়ে
তবে
শেষ কালেতে খেতে।
জানিনা
মা,
সবার
শেষে
তুমি
কিবা
পেতে।
সব
সময়
দেখেছি
যে
তোমার
হাসি
মুখ।
সকলকে
ভালো
রাখাই
ছিল
তোমার
সুখ।
নিজের
কথা
ভাবার
তোমার
নেইকো
অবকাশ,
ভালোবাসায়
পূর্ণ
ছিল,
তোমার
আকাশ।
আজকে
তুমি
চলে
গেলে।
প্রভাত
হোলো
রাত্রি।
চলে
গেলো
জীবন
পথে
উদাসীন
এক
যাত্রী।
সব
আছে,
শুধু
নেই
সেই
জোর,
নেইকো
কোনো
দাবি।
তোমায়
কেন
দিই
নি
কিছু,
তাই
শুধু
আজ
ভাবি।
জানিনা
আমি
জীবনে,
তুমি
কতটুকুই
বা
পেলে,
জানোনা
তুমি,
সংসারকে
কতখানি
দিয়ে
গেলে।
[মিনতি ঘোষ একজন গৃহবধূ, জন্ম সাল ১৯৪২। শৈশব থেকেই সাহিত্যের প্রতি অনুরাগ। সেই অনুরাগ-ই তাঁকে সাহিত্য সৃষ্টি করতে উদ্বুদ্ধকরেছে। মাত্র ১৫ বছর বয়সে, "বুদ্ধির্যস্য বলং তস্য”নামক স্ব-রচিত নাটকটি মঞ্চস্থ করেন হাওড়া টাউন হলে, নিজের পরিচালনায়। এরপরে বিভিন্ন গল্পে নাট্যরূপ দিয়ে অনেক অনুষ্ঠানে নাটক পরিচালনা করেছেন। বিভিন্নসময়ে। 'আত্মবিকাশ সাহিত্য পত্রিকা', 'রজনীগন্ধা', 'নবউর্মি ' সহ বিভিন্ন পত্রিকায় তাঁর কবিতা প্রকাশিত হয়ে চলেছে। তাঁর প্রকাশিত কিছু রচনা ২০০৩ সালে "বিচিত্রা" নামে পুস্তকাকারে প্রকাশিত হয়। কয়েক বছর পরে ২০১২ সালে তাঁর দ্বিতীয় গ্রন্থ প্রকাশিত হয় "বৈচিত্র" নামে।]
Comments