জলের
অন্য
নাম চন্দন
বন্দ্যোপাধ্যায়
বলেছিলাম -
তোমাকে আমি ভালোবেসে সোনায় মুড়ে দেব
হৃদয়ের গভীরে, ময়ূর সিংহাসনে হবে তোমার স্থান।
সাতটি রঙে ছবি এঁকে দেব তোমার ঘরের দেয়ালে
তোমার চোখের তারায় ফুটবে বর্ণোজ্জ্বল রামধনু
বর্ণালীতে বাজবে ভৈরবীর সুর
বৈশাখের প্রখর দাহের শেষে
এক পশলা বৃষ্টিতে
কিম্বা হয়তো এক অন্য রকম শ্রাবণে।
হওয়ার তো কথা ছিল এমনই,
অথচ,
তুমি দেখো,
আমার শরীর জুড়ে আজ প্রদাহ
সতেজ বৈশাখের
দেহ লাঞ্ছিত চাকা-চাকা, বুটি-বুটি কালছে গোলাপি দাগে,
কীটদষ্ট জবা পাতার মতো
ক্ষত সারা অঙ্গ জুড়ে।
অসমাপ্ত ক্লান্তি বাসা বেঁধেছে যৌবনে টলোমলো পেশীগুলোয়
প্রেম যেন ফ্যাকাশে পুঁজের মতো বর্ণহীন
উষ্ণ শোণিতস্রোতে দুঃস্বপ্ন কাল হয়ে ভেসে ওঠে।
সাতাশ না হতেই, আমি কেমন বুড়িয়ে গেছি, দেখো, এক
একবার দেখো, সাতাশ না হতেই
আমি কেমন বুড়িয়ে গেছি।
কবিতা ?
কবিতা কোথায় পাব ?
কবিতা কোথায় আছে এখন ?
কবিতা , অক্ষরের অনাবিল আলপনা
ভুলে গেছে, ভুলে গেছে কবিতা আমাকে।
কেবল তোমাকে
আমার কবিতাকে দেখি আজ অনুকম্পায় নতশির
জলদেবীরূপে।
স্বপ্নে যেন তোমার হাতে ধরা অমৃত-কলস
তার অমরা থেকে নির্গত অনন্ত সুপেয় জলধারা।
ওগো প্রিয়তমা,
তুমি কি দিতে পারো, আজ আমাকে এক আঁজলা জল ?
দেবে, জল দেবে বল,
তুমি কি দেবে , আমাকে এক আঁজলা জল ?
দেবে বল, এক আঁজলা জল ?
Background photo courtesy: Mann Banerjee @
Subarnarekha_Ghatsila_Jharkhand_India
Comments