চন্দন
বন্দ্যোপাধ্যায় ও এলিজা গায়েন
প্রতি বছর ভারতের পড়শি দেশ নেপালে আজকের দিনটিকে ১৫ আষাঢ় / ২৯ জুন ধান রোপন দিবস হিসেবে পালন করে। দক্ষিণ এশিয়ার গরিব দেশগুলোতে প্রধান খাবার ধানের ফসল চাল, যা বাংলায় ভাত। এমন উৎসবের দিনে তারে বলা যায়, অর্থাৎ, আপনাদের বলা যায়; ধানের ফসল চাল, মানুষের ফসল সমাজ। ধান বা চাল যেমন হরেক কিসিমের মানব-সমাজ ও তার ব্যতিক্রম নয়।
গত এক বছর ধরে Association for Protection of Civil
Rights (APCR) নামে একটি সংস্থা Hate Crime Report Mapping First Year of
Modi’s Third Government রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। আজ, বর্তমান পত্রিকার প্রথম পাতায় 'সংখ্যালঘুদের উপর অপরাধ চরমে" ওঠা নিয়ে একটি উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
আমরা প্রথমেই, সহজ-সরল ভাষায় APCR-র সঙ্গে এই বিষয়ে সহমত যে, রিপোর্ট-টি সম্পূর্ণ নয়, কারণ ভারত সাংস্কৃতিক-ঐতিহাসিক ভাবে তথ্য ছাপার থেকে তথ্য চাপার কাজে বেশি পারদর্শী।
দেশ যদি মহান হয় তবে সেই দেশের মহতী নাগরিকবৃন্দের কুকর্ম মহান হতে
বাধ্য! Hate Crime Report এর কিছু নমুনা এইরকম:
নমুনা
- ১: ঘৃণা ভাষণবিদদের সাংগঠনিক পৃষ্ঠপোষকতা ( সবকা বিকাশ ):
নমুনা - ২: ঘৃণা ভাষণ রাজ্যে-রাজ্যে ( সবকা সাথ ):
বর্তমান পত্রিকার প্রথম পাতায় 'সংখ্যালঘুদের উপর অপরাধ চরমে" একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়কে সংখ্যাগুরু-সংখ্যালঘুর বন্ধনীতে পেশ করে 'গোলেমালে ফেলেছে কৃষ্ণ, কী হবে হায় !' এর সামনে বা পিছনে বাণিজ্যিক পত্র-পত্রিকার উর্বর মস্তিস্ক সম্পাদক-সাংবাদিকরা কী মহৎ উদ্দেশ্য যে সাধন করছেন তা আমাদের বোধের অগম্য।
আমরা সবিনয়ে বলতে চাই, কোন শাসক গোষ্ঠী বা বিশেষ কোন ধর্মবিশ্বাসী মানুষ আক্রমণকারী বা আক্রান্ত এতো সহজ-সরল নবম শ্রেণীর উপপাদ্য প্রমাণের মতো জলবৎ তরলম, বিষয়টা তেমন নয়। রাজনৈতিক দল, প্রাতিষ্ঠানিক ধর্ম বিশ্বাসী গোষ্ঠী এরা সকলেই সমাজবদ্ধ। অনৈতিকতার দায় সমগ্র সমাজ ব্যবস্থার। ভারতে, গত একদশকের বেশি সময় ধরে সাংস্কৃতিক আধিপত্যবাদের রমরমা। এর দায় আপামর ভারতবাসীর, ভারতীয় সমাজের।
আমরা যথা পূর্বং, সবিনয়ে বব ডিলান এবং কবির সুমনের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়ে জানতে চাই,
'কত হাজার বারের পর আকাশ দেখা যাবে ?
কতটা কান পাতলে তবে কান্না শোনা যাবে ?
কত হাজার মরলে তবে মানবে তুমি শেষে ?
বড্ড বেশি মানুষ গেছে বানের জলে ভেসে? ' .......
অপরাধ নেবেন না, প্লিস।
Detail link:
Comments